এদিন লোকসভায় পেশ করা কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সার্কেলকে উল্লিখিত খাতে ১০ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তার পরের বছর, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কলকাতা সার্কেলের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকায়। রাজ্যকে কেবল বঞ্চনা কেন্দ্রের।
উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও সংরক্ষিত সৌধের রক্ষাণাবেক্ষণ খাতে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার লোকসভায় লিখিতভাবে বিগত তিনটি আর্থিক বছরের হিসেব পেশ করেছে সংস্কৃতিমন্ত্রক। আর সেই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হয়েছে বঞ্চনার এই ছবি।
একইভাবে যদি ওড়িশার ভুবনেশ্বর সার্কেল দেখা যায়, তাহলেও স্পষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার চিত্র। ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে সংশ্লিষ্ট খাতে ভুবনেশ্বর সার্কেলের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ৯০ লক্ষ, ৫ কোটি ৩০ লক্ষ এবং ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচি সার্কেলকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তা কমে দাঁড়ায় ৮৮ লক্ষ টাকায়। আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রেই এরকম উদাহরণ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ছবিটা এক্ষেত্রে কীরকম? কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা সার্কেল ২০১৮-১৯ সালে পেয়েছে ৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
২০২০-২১ আর্থিক বছরে সেই বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। বরাদ্দ বেড়েছে উত্তরপ্রদেশের সারনাথ সার্কেলের জন্যও। উল্লিখিত তিন অর্থবর্ষে এই সার্কেলের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ যথাক্রমে ২ কোটি ৫৫ লক্ষ, ৩ কোটি ২০ লক্ষ এবং ৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন সার্কেলের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছিল ৮২ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বরাদ্দ হয়েছিল ৩ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি লিখিতভাবে জানিয়েছেন, সারা দেশে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আওতায় মোট ৩ হাজার ৬৯৩টি সৌধ রয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১৩৫টি সৌধ।