জয় দিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল ভারত। ব্যাটে সূর্য কুমার যাদব, বোলিংয়ে নিঃসন্দেহে যুজবেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার ও দীপক চাহারের দৌলতে ১৬৪ রানের পুঁজি নিয়েও হেসে খেলে প্রথম টি-টোয়েন্টি ৩৮ রানে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। এই প্রচন্ড গরমেও রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য ১২৬ রানে গুটিয়ে গেল মিকি আর্থারের ছেলেরা। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন শিখররা। কম রানে আটকে রাখলেও শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা কিছুতেই মিটছে না। ৫০ রান তুলতে গিয়ে ৩ উইকেট পড়ে যায় তাদের। শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর চাপ বাড়াতে থাকে ভারতীয় বোলিং। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, চাহাল, ভুবির দাপটে শ্রীলঙ্কার তখন নাজেহাল অবস্থা। এরপর তাদের পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না।
ম্যাচের বয়স বাড়লে শিশিরের সমস্যা আরও ভোগাবে, এই চিন্তা করেই টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকা। ভারতকে মাত্র ১৬৪ রানে আটকে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম বলে পৃথ্বী শকে ফিরিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। এরপর ধাওয়ান ও সঞ্জু স্যামসন রান তোলার চেষ্টা করলেও বিপক্ষের উপর পুরো জাঁকিয়ে বসতে পারেননি। স্যামসনের উইকেট যাওয়ার ক্রিজে এলেন। সূর্য কুমার যাদব থেমে থাকার পাত্র নন। আত্মবিশ্বাস যেন বোঝাই করে বাইশ গজে নিয়ে আসেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট, আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক মঞ্চ, নিজের খেয়ালে বিপক্ষকে বধ করেন এই মুম্বইকর। রবিবারও সেই দৃশ্য দেখা গেল।
চলতি বছর মার্চে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর টি-টোয়েন্টি অভিষেক ঘটেছিল। প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে করেছিলেন ৫৭ ও ৩২। আর এ দিন থামলেন ৫০ রানে। মাত্র ৩৪ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়। সূর্যের সঙ্গ পেয়ে শিখর ৪৬ করলেন। খেললেন ৩৬ বল। এরপর দলের স্কোরবোর্ডে তখন ১১৩, ধাওয়ান ফিরে গেলেন। এর কিছুক্ষণ পরে অর্ধ শতরান সেরেই আউট হলেন সূর্য। ভারতের রান তখন ১২৭। শেষের দিকে ঈশান কিশন ১৪ বলে ২০ রান করলেও ৫ উইকেটে ১৬৪ রানে আটকে গেল ভারত। তবে ম্যাচ জিততে মোটেও বেগ পেতে হয়নি শিখরদের।