বাংলার একমাত্র জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েককে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনেকেই। টোকিওয় গিয়ে কিছু একটা করে দেখাবেন বলে অনেকেই আস্থা রেখেছিলেন প্রণতির উপর। কিন্তু রবিবার নিজের সেরা পারফরম্যান্সের ধারে কাছেও ছিলেন না উনি।
টোকিও অলিম্পিক থেকে ছিটকে যাওয়ার পরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন অলিম্পিকে দেশের একমাত্র জিমন্যাস্ট। জিমন্যাস্টিকস ইভেন্টের প্রতিটি বিভাগে ব্যর্থ হন প্রণতি। অলিম্পিকে শেষ হয়ে যায় তাঁর দৌড়। প্রণতির দায়সারা পারফরম্যান্স নিয়ে সরব হন তাঁর প্রাক্তন কোচ মিনারা বেগম।
সেই জের কাটতে না কাটতেই সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রণতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তাঁর কোচ লক্ষ্ণণ শর্মাকে। প্রতিজ্ঞা করলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। কোচ এবং ছাত্রী একই ফ্রেমে রয়েছেন এরকমই একটি ছবি পোস্ট করে প্রণতি লিখেছেন, “টোকিও অলিম্পিক্সে পারফর্ম করতে পেরে আমি খুব খুশি। এত বড় একটা মঞ্চে নামার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি।”
এর পরেই প্রণতি তাঁর কোচ লক্ষ্ণণ মনোহর শর্মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উল্লেখ করেছেন, মাত্র দু’ মাসের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি অলিম্পিকের মতো মেগা ইভেন্টে নেমেছেন। প্রণতির কথায়, “লক্ষ্ণণ মনোহর শর্মা স্যরকে ধন্যবাদ জানাই। একজন জিমন্যাস্টই কেবল জানেন, দু’মাসের প্রস্তুতি নিয়ে অলিম্পিকের মতো প্রতিযোগিতায় নামা যায় না।
অতিমারী পরিস্থিতির জন্য একবছর আমি ভাল করে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। কিন্তু কোচ লক্ষ্ণণ স্যারই আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে বড় মঞ্চে আমি নিজের সেরাটা দিতে পারব।” ছোটবেলা থেকে প্রণতিকে তিলে তিলে গড়ে তোলেন মিনারা বেগম। সব ঠিকঠাক থাকলে তিনিই হয়তো টোকিও যেতেন।
কিন্তু জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন তাঁকে অলিম্পিকে যেতে দেয়নি বলে অভিযোগ দক্ষ কোচের। প্রণতি ব্যর্থ হওয়ায় তিনি বলেছিলেন, “আমার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে।” টোকিওয় স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পরে আশাহত প্রণতি প্রতিজ্ঞা করলেন তাঁর কোচ লক্ষ্ণণ শর্মার কাছে।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রণতি স্বয়ং লিখেছেন, মেগা ইভেন্টে যে তিনি আদৌ পারফর্ম করতে পারবেন সেই বিশ্বাস তাঁর মধ্যে ছিল না। কিন্তু লক্ষ্ণণ শর্মাই তাঁকে অভিভাবকের মতো আগলে রেখে মনে বিশ্বাস জোগান। খুব ভাল প্রশিক্ষণ দেন। প্রণতি তাঁর কোচকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ” স্যার, একদিন আপনাকে আমি গর্বিত করব।” জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন ও সাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রণতি।