পেগাসাস ইস্যুতে এবার ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ রাজ্যের শাসক দলের লক্ষ্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পথে নেমে ফোন ট্যাপিংয়ের বিরুদ্ধে জনমানসে ব্যাপক প্রচার চালানো। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের পেগাসাস ইস্যুতে সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পেগাসাস ইস্যুতে ব্যাপক প্রচারে নামতে বলা হয়েছে দলের তরফে। এবার ভিন রাজ্যেও পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছে জোড়া ফুল শিবির।
ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, এই তিনটি রাজ্যই বিজেপি শাসিত রাজ্য। আর এই তিন রাজ্যেই চলতি মাসে তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ ২১ জুলাই পালন করেছে কর্মী-সমর্থকরা। ত্রিপুরাতে ২১ জুলাই পালন করতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। পুলিশের হাতে আটক হতে হয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের। এমনকী মেলেনি জায়ান্ট স্ক্রিনও।
যদিও আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরছে না ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের নেতা আশিষলাল সিং জানিয়েছেন, “বিরোধী রাজনৈতিক দল হওয়ার কারণে আমাদের উপরে বারবার আঘাত নেমে এসেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের নেতাদের ভরসা নেই। আমাদের আন্দোলন প্রতিহত করতে নজরদারি চালাতেই পারে৷ যা যা রিপোর্ট আসছে তাতে অস্বীকার করার বিষয় নেই। তাই আমরা আন্দোলনে নামছি। যেভাবে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ফোন ট্যাপ করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতেই আমরা রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
পিছিয়ে নেই উত্তরপ্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে তারাও। ২১ জুলাই শহীদ দিবস লখনউতে পালন করেছে তাঁরা। তাঁদের উৎসাহ দিতে হাজির ছিলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। যদিও যোগী রাজ্যে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাধা পেতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু আন্দোলন থেকে সরতে রাজি নয় তৃণমূল। তাই পেগাসাস ইস্যুতে এবার ফের উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় আন্দোলন করতে চাইছে তাঁরা। বারাণসী, মির্জাপুর, লখনউ, বরেলির মতো জায়গায় তাঁরা পেগাসাস ইস্যুতে ছোট ছোট মিছিল করতে চায়। ইতিমধ্যেই গত তিন দিনে অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা নীরজ রাই জানাচ্ছেন, ‘যোগী রাজ্যে আমাদের আটকানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ফোনে আড়িপাতা মানে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়া। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সবার ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। বাংলা দখলের আগে এই চেষ্টা করেছিল। এখন এই রাজ্যেও আমাদের উপরে চেষ্টা করা হচ্ছে ফোন ট্যাপিংয়ের৷ তাই আমরা রাস্তায় নামছি। উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় আমরা আন্দোলনে থাকব’।
পিছিয়ে নেই মোদী-শাহের রাজ্য গুজরাত। ২১ জুলাই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পোস্টার, হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, গোটা দেশ এই ছবি দেখেছে। এবার সেই রাজ্যে পেগাসাস ইস্যুতে বিজেপি বিরোধিতায় পথে নামছেন সেখানকার তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ভিন রাজ্যে আন্দোলন করে তারা বুঝিয়ে দিতে চায় সর্বত্রই মানুষ বিজেপি বিরোধিতায় সরব হচ্ছে।