একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মোদী সরকার বিরোধী ফ্রন্টের ডাক দিয়েছেন মমতা। এছাড়াও জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি, দেশের বেহাল অর্তনীতি, কোভিড মোকাবিলা, পেগাসাস ইস্যুতে টগবগিয়ে ফুটছে দেশ। বিরোধীদের নিশানায় মোদী সরকার। অচল সংসদ। এই পরিস্থিতে দিল্লীর অলিন্দে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা জয়ের পর এবার মমতার লক্ষ্য দিল্লী। মিশন ২০২৪-এর সলতে পাকানোর সূচনায় রাজধানী গেলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লী সফর বেশ তাৎপর্যবাহী। দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সাক্ষাৎ হবে সোনিয়া গান্ধী সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে।
উনিশের চেষ্টা সফল হয়নি। এবার তাই লোকসভা ভোটের বছর তিনেক আগে থেকেই বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে তৎপর বাংলার অগ্নিকন্যা। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই তার সুর বেঁধেছেন তিনি। মমতার এই দিল্লী সফর কার্যত মোদী বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের তোড়জোড় বলাই যায়। যা আরও পোক্ত হয়েছে নজির বিহীনভাবে রবিবার কংগ্রেসের টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের ছবি সহ কেন্দ্রের আড়ি পাতার বিরোধিতায়।
তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় ফেরার পর এটাই মমতার প্রথম দিল্লী যাত্রা। যাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগেরবার চেষ্টা করেও জাতীয় রাজনীতিতে কলকে পাননি মাননীয়া। এবারতো আরই পাবেন না। উনি রিল্যাক্স করতে দিল্লী যাচ্ছেন।’
রাষ্ট্রমন্ত্রী সময় দিলে এই সফরে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষৎ করতে পারেন তিনি। দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। সূত্রের খবর, আগামিকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সাক্ষাতে বাংলার দাবি-দাওয়া, রাজ্যকে আরও কোভিড টিকা পাঠানো নিয়ে সরব হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সংকীর্ণ স্বার্থ ভুলে মোদী সরকারের বিরোধীতায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সূত্র বাতলাতে পারেন তিনি। সংসদের ভিতর-বাইরে একযোগে বিরোধীদের কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলাতেও গুরুত্ব আরোপ করার বলতে শোনা যেতে পারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। আগামী বুধ বা বৃস্পতিবার হয়তো চাণক্যপুরীতে বিরোধীদের এই বৈঠক হতে চলেছে।