পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রায় ২ বছর আগে হোয়াটস অ্যাপ ও খবর জানানোর পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশজুড়ে। গত সপ্তাহে ফের সামনে চলে আসে পেগাসাস কেলেঙ্কারির কথা৷ পেগাসাসের মাধ্যমে কি বাংলার কারও ফোন ‘হ্যাক’ হয়েছিল? যদি সেই ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাতে যুক্ত ছিল? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে তদন্ত কমিশন গঠন করল রাজ্য। ছ’মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিশন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুরো বিষয়টির তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিশনে আছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) এমবি লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য।
পরে রাজ্য সরকারের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে কমিশনের কী কী কাজ হবে, তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আড়ি পাতার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্যি হয়ে থাকলে কীভাবে ম্যালওয়ার কাজ করেছে, তা তদন্ত করে দেখবে কমিশন। ‘নজরদারির’ জন্য ইজরায়েলের এনওসও গ্রুপের পেগাসাস বা অন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, কোন কারণে ‘আড়ি’ পাতা হয়েছিল, ‘আড়ি’ পাতার ফলে প্রাপ্ত তথ্য কোথায় গিয়েছে, কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাও তদন্ত করা হবে। সেইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠীর প্ররোচনা বা উস্কানির মতো বিষয়-সহ কোন পরিস্থিতিতে ‘আড়ি’ পাতা হয়েছিল, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভূমিকা কী, ‘আড়ি’ পাতা হয়ে থাকলে আইনি দিকও বিবেচনা করে দেখবে কমিশন।