একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই ভাঙন অব্যাহত গেরুয়া শিবিরে। দিকে দিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এবার যেমন একদিনে জোড়া দলবদল কর্মসূচী হল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। রবিবার সেখানে দুটি অনুষ্ঠানে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেন শতাধিক নেতা, কর্মী। যার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী এবং বিজেপি নেতাও।
রবিবার কালনায় দুটি পৃথক কর্মসূচী হয় তৃণমূলের তরফে। তাতেই শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রথম যোগদান কর্মসূচিটি ছিল কালনা ২ ব্লকের সিঙ্গেরকোনে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। দলবদলকারী কর্মী, সমর্থকদের হাতে এদিন দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু।
বিজেপি কর্মীদের ঘাসফুল শিবিরে স্বাগত জানিয়ে দেবু টুডুর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে বিজেপি থেকে অনেকেই আবেদন করেছিলেন। তাই এদিন শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থকের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হল। উল্লেখযোগ্যভাবে একসময়ের বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী ছন্দা কর্মকার, বিজেপি নেতা কৌশিক দাশগুপ্তরাও তৃণমূলে যোগ দিলেন।’
আরেকটি অনুষ্ঠান ছিল কালনার নতুন বাসস্ট্যান্ডে। এই মঞ্চে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে অটোচালকরা। কালনা মহকুমা আইএনটিটিইউসি-র কার্যকরী সভাপতি অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি সমর্থিত প্রায় একশো অটোচালক তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হল।’
শাসকদলে যোগ দিয়েই বিজেপি মহিলা মোর্চানেত্রী ছন্দা কর্মকার বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক,মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকা বিজেপি দলে ভাল মানুষের ঠাঁই নেই।শান্ত বাংলাকে প্রতিনিয়ত অশান্ত করতে তাঁরা শুধু মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। তাই সেই দলে আর না থেকে তৃণমূলের উন্নয়ন যজ্ঞে নিজেকে সামিল করতে তৃণমূলে যোগদান করি।’