ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে চারটি অলিম্পিক্সে নেমে রেকর্ড করলেন। কিন্তু এই রেকর্ড তিনি করতে পারবেন ভাবেননি। কয়েক মাস আগেও টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামার কোনও সম্ভাবনা দেখতে পাননি সানিয়া মির্জা। হয়ত নির্ধারিত সময়ে গত বছর অলিম্পক্স হলে সানিয়ার খেলাও হত না। ২০১৮ সালে মা হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জীবনে বদল এসেছে।
“এই অতিমারির অনিশ্চয়তায় আমাদের প্রত্যেককে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। একটা সময় কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু দেশের প্রতি ভালবাসা আর দেশের প্রতিনিধিত্ব করার উত্তেজনাই আমাকে তৈরি করে দিয়েছে” জানালেন সানিয়া।
তিনি বলেন, “চারটে অলিম্পিক্স খেলা মুখের কথা নয়। কেউই ভাবতে পারে না। আমিও যখন খেলা শুরু করেছিলাম, স্বাভাবিকভাবেই ভাবতে পারিনি। আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও কঠিন ছিল।” তিনি জানান, ইজহান অর্থাৎ সানিয়ার ছেলে হওয়ার পর তাঁর জীবন যাত্রা বদলে গিয়েছে। জানতেন না কবে আবার কোর্টে নামতে পারব।’
তবে আবার টেনিস শুরু করব। এই আত্মবিশ্বাস ছিল। ছিল জেদ। আগের তিনটে অলিম্পিক্স আর এবারের মধ্যে তফাৎ আছে। এবার মা হয়ে নেমেছি। এটা বিশেষ অনুভূতি। জাপানে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে প্রচণ্ড হারে। টোকিয়োতে গেমস ভিলেজে হাজারটা কড়া বিধি নিষেধ। তবুও অলিম্পিক্সের সেই তেজ যে এখনও বর্তমান আছে, তা সানিয়ার কথাতেই স্পষ্ট।