একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। বারবারই প্রকাশ্যে এসে পড়ছে নেতাদের মধ্যেকার রেষারেষি, কলহের কথা। দিলীপ ও শুভেন্দু শিবির যে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে একের পর এক দলীয় কর্মসূচীতে। এই মুহূর্তে দিল্লী গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজধানীতে একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন তিনি। তারপর সেই সাক্ষাতের কথা নিজেই জানাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ খবর দিলীপ ঘোষ জানেন তো? এবার এমনই প্রশ্ন তুলে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় রেল ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে। এছাড়া বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও এদিন সাক্ষাৎ হয়েছে শুভেন্দুর। নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের বিভিন্ন মুহূর্ত টুইট করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, নয়াদিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু রাজ্যে গেরুয়া রাজনীতির অন্দরমহলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মধ্যে সদ্ভাবের অভাব অনেক দিন ধরেই প্রকট। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া না করে শুভেন্দুর রাজধানী সফর নিয়ে কুণাল লিখেছেন, শুভেন্দু দিলীপ ঘোষকে বলে দিল্লী গেছে তো?
উল্লেখ্য, পেগাসাস বিতর্ক নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে অনেক দিন ধরেই নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষসহ রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা। এদিন শুভেন্দুর দিল্লির কার্যক্রমকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেছেন, যিনি প্রকাশ্যে বলছেন অন্যের কল লিস্ট, কল রেকর্ডিং রাখেন, সেই ‘পেগাসাস অধিকারী’ একই দিনে সংসদভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করছেন। বিচিত্র সরকার। বিচিত্র বিজেপি। ওকে তো গ্রেফতার করে জেরা করা উচিত।’ ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্যের ভিত্তিতে তাঁকে শাসন করতেই দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্র দাবি করেছেন, এক আদি বিজেপি নেতাই গোপনে এই তথ্য তাঁকে দিয়েছেন।