গত রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। তারপর থেকেই কোন খোঁজ মিলছিল না তাঁর। অবশেষে পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল মালদার তৃণমূল নেতার দেহ। বিহারের বলরামপুর থানা এলাকার ডালখোলা এবং বারসই রেল স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতার দেহ দেখতে পাওয়া যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে বলরামপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য কাটিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর শনিবার ভোরে ভালুকা হাতিছাপা গ্রামে পৌঁছয় তৃণমূল নেতার দেহ। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনও জারি ধোঁয়াশা।
আনেসুর রহমান নামে ওই তৃণমূল নেতা পেশায় ইট ব্যবসায়ী। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ইটভাটায় যাচ্ছেন বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর বেলা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তৃণমূল নেতার। তাঁর পরিজনেরা খোঁজখবর শুরু করেন। তা সত্ত্বেও খোঁজ মেলেনি বছর পঞ্চাশের আনেসুরের। ওই তৃণমূল নেতার ভাই সাইদুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন বিহারের কাটিহার এলাকায় তাঁর দাদার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। তারপরই থানায় যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন, কাটিহার মেডিক্যাল কলেজে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত চলছে। এরপরই দেহ ফেরানোর জন্য কাটিহারে ছুটে যান তিনি।
ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন নিহতের পরিজনেরা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মকবুল হোসেনের দাবি, আনেসুর রহমানকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। তবে সেটিকে আত্মহত্যার রূপ দিতে বিহারের কাটিহারে রেললাইনের পাশে গাছে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই নড়েচড়ে বসেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।