দিল্লিতে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে সখ্য। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কাছাকাছি আনছে পেগাসাস কাণ্ড। কারণ দুই দলের দুই প্রধান নেতা রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পেগাসাসের প্রধান টার্গেট।
কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস, দুই দল যে কাছাকাছি আসছে তার আভাস প্রথম পাওয়া গেল ২১ জুলাই। সেদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছিলেন দিল্লীতে বসে তা শুনেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, দিগ্বিজায় সিংহরা । মমতা তাঁদের নাম করে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেই একুশের বক্তব্য শুরু করেন এবং ফ্রন্ট গড়ার ডাক দেন।
দেখা যাচ্ছে দুই দলই কিছুটা ঘুরিয়ে একে অন্যের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। যেমন পেগাসাস কাণ্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশান্ত কিশোর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করার সময় রাহুল গান্ধীর নামও বলা হচ্ছে। অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের তরফ থেকে সংযোগ রক্ষার জন্য আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পি চিদাম্বরম এবং অভিষেক মনু সিংভি-কে।
এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতার কথায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় হঠাৎ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছে বলে আমরা তৃণমূলের উপর চটে রয়েছি এই ধারণা ভুল। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। কিছু বিষয়ে মতবিরোধ যেমন থাকবে তেমনই কিছু বিষয় আমরা দু’পক্ষই নমনীয় হতে পারি।
তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সমঝোতার শেষ চিহ্নটি বহন করছে মমতা সোনিয়ার সাক্ষাৎ সম্ভাবনা। সামনের সপ্তাহেই এই সাক্ষাৎ পর্ব সম্পন্ন হতে চলেছে। মমতা সোনিয়ার হৃদ্যতা অনেকদিনের। যদিও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ২০২৪। মোদী সরকারকে উপড়ে ফেলার লক্ষ্যে সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মমতা।