আগামী সোমবার দিল্লী সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগেই তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন ঘোষণা করা হল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
৭ বারের সাংসদ, ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী। সংসদীয় হোক বা পরিষদীয়, মমতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার তুলনা করা যায়, এমন রাজনীতিবিদ এখন ভারতবর্ষে হাতেগোনা। ঠিক যে সময় তৃণমূল ক্রমশ জাতীয় রাজনীতিতে পা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক তাৎপর্য অনেকটাই। বিশেষ করে, চলতি সপ্তাহেই যখন মমতা দিল্লি যাচ্ছেন, তার আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও তৃণমূল বড় বার্তা দিতে চাইল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ বারের সাংসদ। তাঁর সংসদীয় রাজনীতির জ্ঞান অসীম। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে। তাই সর্বসম্মতিক্রমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হল।’ সুখেন্দু শেখরের কথায়, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সংসদীয় দলের সমস্ত সদস্য মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সভানেত্রী যেমন রয়েছেন, তেমনই তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও তাঁর হাতেই থাকবে।
মমতার এই পদে বসার অর্থ, দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা কোন রণনীতিতে কাজ করবেন, তা এবার থেকে ঠিক করবেন দলনেত্রী নিজেই। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, নতুন করে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখলেন মমতা। একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার যে তৃণমূলের লক্ষ্য দিল্লি, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল ঘাসফুল শিবিরের এই পদক্ষেপে।