করোনার প্রকোপ ও তার ফলস্বরূপ যাবতীয় বিধিনিষেধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। এবার পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ সামান্য শিথিল করল জেলা প্রশাসন। একটি ভ্যাকসিনের ডোজ যারা নিয়েছেন, এবার দীঘা সফর করতে পারবেন তাঁরাও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে খানিকটা স্বস্তিতে আমজনতা। এবছর তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই করোনা রুখতে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকাল ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত গণপরিবহন। তবে ধীরে ধীরে ফের ছন্দে ফিরছে রাজ্য। গড়িয়েছে অটো-বাস-ক্যাবের চাকা। আমজনতার জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলির দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন করে সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, সেই কারণে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম।
দীঘা, তারাপীঠ, শান্তিনিকেতন, দার্জিলিং, ডুয়ার্স কিংবা বকখালি, রাজ্যবাসীর অতি পরিচিত এই পর্যটনস্থলে যেতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট অথবা আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট। এগুলো ছাড়া মিলছিল না হোটেল। আর এতেই অনেকেই বাতিল করছেন ভ্রমণের পরিকল্পনা। কারণ, এখনও বহু মানুষেরই করোনার দুটি ডোজ নেওয়া হয়নি। ফলে তাঁদের আরটি পিসিআর টেস্ট করাতে হচ্ছে। যার খরচ প্রচুর। আর সেকথা ভেবেই ট্যুর বাতিল করছেন অনেকেই।
এরপর সব দিক বিবেচনা করে গত রবিবার জেলাশাসকদের কড়াকড়ি খানিকটা শিথিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পরবর্তীতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোভিডের একটা টিকা দেওয়া থাকলেও হোটেল বুক করতে পারবেন পর্যটকরা। এদিকে কড়াকড়ির জেরে পর্যটকরা ট্যুর বাতিল করায় সমস্যায় হোটেল ব্যবসায়ীরা। অনেকেই হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ করোনা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হলেও ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প। যদিও করোনা বিধি শিথিল করেনি বোলপুর প্রশাসন। শান্তিনিকেতন সফরের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করোনা টিকার দুটি ডোজ। অথবা প্রয়োজন কোভিড টেস্টের রিপোর্ট।