আগামী বছর পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন৷ সে দিকে নজর দেখেই নভজ্যোত সিং সিধুকে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। কিন্তু তারপরেও সিধু-ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং দ্বন্দ্বে রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছিল হাতশিবিরকে৷ অবশেষে এবার পাঞ্জাবে সন্ধি হল সিধু এবং ক্যাপ্টেনের মধ্যে৷ আর এর ফলে স্বস্তি ফিরল দলে৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর উপস্থিতিতেই পাঞ্জাবে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন নভজ্যোত সিং সিধু৷ বিদ্রোহী সিধুকে প্রদেশ সভাপতি করেই পাঞ্জাব সঙ্কটকে সামাল দিলেন সোনিয়া-রাহুলরা৷
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব জট যে কেটে গিয়েছে, রাহুল গান্ধিই প্রথম এই দাবি করেন৷ বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে দেখা করে কথা বলেন অমরিন্দর এবং সিধু৷ একসঙ্গে চা খান তাঁরা৷ তখনই বোঝা গিয়েছিল রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সিধুকে মেনে নিয়েছেন অমরিন্দর৷ এমনিতেই গোটা দেশে একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে৷ তার মধ্যে পঞ্জাবেও দুই নেতার কোন্দলে ভোটের আগেই ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা গ্রাস করেছিল কংগ্রেসকে৷ এমন কী, সিধুর আম আদমি পার্টিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল৷
শেষ পর্যন্ত তা না হলেও সিধু বুঝিয়ে দেন, অধিকাংশ বিধায়কের সমর্থন তাঁর সঙ্গেই রয়েছে৷ যদিও সব তিক্ততা ভুলে এদিন অবশ্য ঐক্যেরই বার্তা দিয়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু এবং অমিরন্দর সিং৷ নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর সিধু বলেন, ‘একজন সাধারণ পার্টি কর্মী এবং দলের রাজ্য সভাপতির মধ্যে কোনও তফাত নেই৷ আজ থেকে পাঞ্জাবের প্রত্যেক কংগ্রেস কর্মী দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে কাজ করবেন৷’ আবার অমরিন্দর সিং বলেছেন, ‘পাঞ্জাবে আমাদের কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে হবে৷ এই মঞ্চ থেকে আমি প্রত্যেককে বলছি, পাঞ্জাবের জন্য আমাদের সিধুকে সমর্থন করতেই হবে৷’