জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর থেকেই সতর্ক ফৌজ। এবার পশ্চিমবঙ্গে নৌঘাঁটিগুলির ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করল ভারতীয় নৌসেনা। শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে নৌসেনা জানিয়েছে যে রাজ্যে নৌবাহিনীর ঘাঁটি, দপ্তর বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনও ব্যক্তি বা বেসরকারি সংস্থা ড্রোন এবং চালকবিহীন কোনও যান ওড়াতে পারবে না। অর্থাৎ রাজ্যে নৌঘাঁটিগুলির কাছে কোনও ড্রোন বা চালকবিহীন যান ঘেঁষতে দেখলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।
তবে আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সংস্থাগুলিকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হচ্ছে না। এর ফলে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডিং ইয়ার্ড-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বলে রাখা ভাল, নৌবাহিনীর জন্য একাধিক রণতরী তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ। এখানেই তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক রণতরী আইএনএস হিমগিরি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জঙ্গিদের নিশানা হয়ে উঠতে পারে গার্ডেনরিচ।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা ভেস্তে দিতে তৎপর নয়াদিল্লী। জম্মুতে ড্রোন হামলার পর প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো আরও মজবুত করে এবার ১০টি ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ বা ড্রোন বিধ্বংসী হাতিয়ার কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম’ কেনার জন্য ‘লেটার ফর রিকোয়েস্ট’ জারি করেছে বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে ১০টি ড্রোন বিধ্বংসী সিস্টেম কেনা হবে। সেগুলি লেজার রশ্মির উপর ভিত্তি করে তৈরি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন’ হতে হবে। অর্থাৎ লেজার রশ্মি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ড্রোন ধ্বংস করবে ওই হাতিয়ারগুলি।