পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে বর্তমানে উত্তাল ভারতীয় রাজনীতি। আগেই এই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সংসদের বাদল অধিবেশনেও এ নিয়ে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে৷ এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও৷ জঙ্গীদের ওপর নজরদারি রাখতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তা বিরোধীদের উপরে নজর রাখতে ব্যবহার করেছে কেন্দ্র৷ পেগাসাস কাণ্ডে মোদী সরকারকে এমনই তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি৷ তাঁর দাবি, ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে স্পষ্ট জবাব দিক কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও ইস্তফা দাবি করেছেন তিনি৷ ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে এ দিন সংসদের বাইরে কংগ্রেস, শিবসেনা, ডিএমকে সাংসদদের সঙ্গে বিক্ষোভেও অংশ নেন রাহুল৷
প্রসঙ্গত, পেগাসাস বিতর্ক সামনে আসার পরই একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়, যাঁদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই তালিকায় রাহুল গান্ধীরও নাম রয়েছে৷ এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে জঙ্গীদের ওপরে নজরদারি চালানো হয়৷ আর সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই রাষ্ট্র এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে নজরদারি চালাতে ব্যবহার করেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ৷ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়েছে৷ কর্ণাটকেও ওঁরা এটাই করেছেন৷ আমার ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে৷ এই গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উচিত পদত্যাগ করা৷ ‘
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এই দাবিও তোলেন যে, কার অনুমোদনে পেগেসাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছিল, তা সামনে আসুক৷ মোদী সরকার সত্যিই এই প্রযুক্তি কিনেছে কি না, সেটাও স্পষ্ট করা হোক৷ কংগ্রেস নেতার সাফ কথা, ‘রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত গোপনয়ীতা ভঙ্গ করা হল কি না, সেটা প্রশ্ন নয়৷ বিরোধী নেতা হিসেবে আমি মানুষের কথা তুলে ধরি৷ তাই এটা সাধারণ মানুষের উপরেই আক্রমণ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবিলম্বে ইস্তফা দিন৷ সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত৷’