“বেশ কয়েক মাস ধরেই সবাই উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, যে সংস্থা টাকা দিচ্ছে সেই শ্রী সিমেন্ট, সমর্থক সবাই ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।” বললেন সমরেশ চৌধুরী। তিনি আরও জানালেন, এটা আশাতীত নয়। একই ভুল বারবার করলে সমস্যা তো বাড়বেই। ক্লাবের সদস্যদের আগেই উনি বলেছিলেন আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। তবে কেউ কেউ সায় দিলেও কাজে তা প্রতিফলিত হয়নি। ফলত এখন নানান সমস্যায় জড়িয়ে গেছে ক্লাব।
গত মরশুমে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে হওয়া আলোচনায় কেন নিজেদের দাবি স্পষ্ট করা তুলে ধরা হয়নি, জানা নেই। তিনি বলেছেন, কোয়েসের সঙ্গে ঝামেলার মতো ঘটনা এবারেও ঘটেছে। পুরনো ভুল থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি ক্লাব।
মোহনবাগান আইএসএল-এ নাম লেখানোয় হয়ত ইস্টবেঙ্গল অনেকটা তাড়াহুড়ো করে ফেলেছিলেন। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা খেলবে, আর ইস্টবেঙ্গল খেলবে না! সেই একটা চাপ তো ক্লাব চালকদের ছিলই।
শ্রী সিমেন্ট বলছে প্রাথমিক চুক্তির উপর ভিত্তি করে ওরা গত মরশুমে ৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে। ক্লাব বলছে, শ্রী সিমেন্ট যেমন টাকা খরচ করেছে তেমনই ১০০ বছরের ঐতিহ্যের সঙ্গেও ওরা জুড়ে নিয়েছে। এছাড়াও গত বছর থেকে কোভিড পরিস্থিতির জন্য সবাই আর্থিক দিক থেকে নাজেহাল। তাই চাইলেও কিন্তু ফের নতুন কাউকে এনে আইএসএল খেলা সম্ভব নয়।
এই সব কারণেই দেশে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। উনি জানান, অনেকেই জানতে চেয়েছেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ কী?’ এর উত্তর নেই একদল সমর্থক প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের লাঠি খেয়েছে। যা একেবারেই কাম্য নয়। প্রসঙ্গত, সমর্থকরা ক্লাবকে শুধু ফুটবল খেলতে দেখতে চায়। সেটা হচ্ছে না বলেই এত সমস্যা।
উনি জানিয়েছেন, ‘সুতরাং আমার মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে।’