মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই দাবি করে থাকেন, ‘এগিয়ে বাংলা’। এই দাবি যে আদৌ ভ্রান্ত নয়, একাধিকবার মিলেছে তার প্রমাণ। তাঁর আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোটা দেশের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলা। এবার করোনার টিকাকরণেও এগিয়ে মমতার রাজ্য। দেশের ছ’টি বড় শহরের মধ্যে টিকাদানের হার সর্বোচ্চ কলকাতায়। সমীক্ষার তথ্য বলছে, ৬১.৮ শতাংশ কলকাতাবাসী ইতিমধ্যেই করোনা টিকার প্রথম ডোজটি পেয়ে গিয়েছেন। এছাড়া এক পঞ্চমাংশ নাগরিকের ডবল ডোজ টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে টিকাদানের এই হার দেশের আর কোনও শহরেই নেই।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, কলকাতার মোট ২১ শতাংশ নাগরিক ইতিমধ্যে দু’ডোজ টিকা পেয়েছেন। ৬১.৮ শতাংশ নাগরিকের অন্তত প্রথম ডোজ হয়ে গিয়েছে। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে টিকাকরণে সবচেয়ে পিছিয়ে দেশের রাজধানী দিল্লী। সেখানে প্রথম ডোজ হয়েছে মাত্র ৩৫.১ শতাংশের এবং ডবল ডোজ পেয়েছেন মাত্র ১১.১ শতাংশ নাগরিক। টিকাদানের হারে কলকাতার পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু। কিন্তু সেখানেও মাত্র ১৪ শতাংশ নাগরিক দু’ডোজ টিকা পেয়েছে। প্রথম ডোজ হয়েছে ৫৭.৮ শতাংশের। তৃতীয় স্থানে থাকা হায়দ্রাবাদে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫৩.৭ শতাংশ মানুষ। দু’ডোজ হয়েছে ১৩.৪ শতাংশের।
কো-উইন ড্যাশবোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফিক ইনসাইটস ডেটাভার্সের এই তথ্য টুইট করেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’। স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য সামনে আসায় উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকার ও শাসকদল। উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত টিকা মিলছে না বলে লাগাতার অভিযোগ করে এসেছে রাজ্য। মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একাধিক চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার কখনও কখনও টিকা সরবরাহ ঠিকমতো না হওয়ায় কলকাতার বেশ কিছু টিকাদান কেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতেও হয়েছে। তবে এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের মধ্যে টিকাদানের হারে সবচেয়ে এগিয়ে থাকার মতো সাফল্য অর্জন নজিরই বটে।