ভোট পরবর্তী হিংসা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের অসংগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে কলকাতা হাই কোর্টে এবার জোরদার সওয়াল করলেন আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই উচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালীন অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কমিশনের রিপোর্টে একাধিক অসংগতি রয়েছে। যে যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই ভোটের আগেকার। সেসময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। এতেই বোঝা যায়, রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। আর ভোটর পরবর্তী সময়ে হিংসা নিয়ে যে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার অনেকগুলোতেই ইতিমধ্যে পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে’। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।
অন্যদিকে, এই রিপোর্ট তৈরির জন্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা যাদবপুরের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে হেনস্তার মুখে পড়েন। হাই কোর্টে সেই রিপোর্টও জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে দিন ১৫ আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদের বৃহত্তর বেঞ্চ যাদবপুরের এলাকার দায়িত্বে থাকা আইপিএস রশিদ মুনির খানকে শোকজ করে। এদিন তিনি শোকজের উত্তর দিয়েছেন। সূত্রের খবর, জবাবে সন্তুষ্ট বিচারপতিরা। ফলে এই মামলায় স্বস্তিতে আইপিএস রশিদ মুনির খান। এদিন হাই কোর্টে সওয়াল-জবাবের সময় অভিষেক মনু সিংভির পালটা বক্তব্য রাখেন মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, মানবাধিকার কমিশনে যাঁরা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাঁদের অনেককেই এখন পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।