একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রকাশ্যে এসে পড়ছে নেতাদের মধ্যেকার কলহ। এবার শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে বিজেপির অন্দরের ফাটল আরও স্পষ্ট হল। বুধবার দিল্লীর রাজঘাট লাগোয়া কিষান ঘাটে দলের ধর্না মঞ্চে এলেনই না বিজেপির শীর্ষ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা। একেবারে শেষবেলায় দলীয় ধর্না মঞ্চে এসে হাজির হলেন বিজেপির আর এক শীর্ষ নেতা অমিত মালব্য। দলের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পুরো সময় ধর্না-অবস্থান কর্মসূচীতে উপস্থিতই থাকলেন না। বিজেপির আরেক সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী হাজির থাকলেও ধর্না মঞ্চে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি ছিল সদ্য প্রাক্তন অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। এমনকী বুধবারের কর্মসূচীতে হাজির ছিলেন না মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বঙ্গ বিজেপির চার সাংসদও।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, বাংলায় ‘রাজনৈতিক হিংসা’র প্রতিবাদে বুধবার রাজ্য জুড়ে শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করবে দল। পাশাপাশি দিল্লীতেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের আলাদা কর্মসূচী নেওয়ার কথা জানানো হয়। সেইমতো গতকাল দিল্লীর কিষান ঘাটে ধর্না-অবস্থান কর্মসূচী নিয়েছিল বিজেপি। আর তাতেই স্পষ্ট হল ফাটল। যদিও উল্লিখিত কর্মসূচীতে মাত্র মিনিট তিরিশের উপস্থিতি নিয়ে পরে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘আমি বুধবার করোনার টিকা নিয়েছি। তাই পার্টি নেতৃত্বকে বলেই আগেভাগে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাই।’ আর শুধুমাত্র কিষান ঘাটের ধর্না মঞ্চেই নয়, দিল্লী থেকে দিলীপ যখন কলকাতায় রাজ্য বিজেপির এই সংক্রান্ত কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিচ্ছেন, তখনও উপস্থিত ছিলেন না কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা।