কোচবিহারে শীতলকুচির সেই আমতলি বুথে ভোটের দিনে নিহত চার যুবকের পরিবার বুধবার, ২১শে জুলাই এলাকায় শহীদ দিবস পালন করল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ১০ই এপ্রিলের সেই দিনের কথা পরিবারগুলির সদস্যরা স্মরণ করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। এদিনের কর্মসূচীতে যোগ দেন গ্রামবাসীরাও। আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে মাদ্রাসা চৌপথিতে শহীদ দিবস পালন করা হয়। অস্থায়ী শহীদবেদি বানিয়ে তাতে ফুল, মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান ওই চারটি পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কান্নাভেজা গলায় ওই পরিবারগুলি মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, “শীতলকুচি বিধানসভার আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে ১০ই এপ্রিল ভোটের দিন চার ভোটারকে গুলি করে হত্যা করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২১শে জুলাই রাজ্যজুড়ে শহীদ দিবস পালন করা হল। আমতলির বুথে নিহত চার মৃতের পরিবারও এদিন শহীদ দিবস পালন করে। আমরা ওই পরিবারগুলির কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করি। বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদকেও স্মরণ করি।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে মিছিল করতে গিয়ে তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশের গুলিতে তৃণমূল কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। এ বছরের ১০ই এপ্রিল আমতলির বুথে ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার তরতাজা যুবক। নিহত হামিদুল মিঁয়ার বাবা দিল মহম্মদ মিঁয়া বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় শহিদ দিবস পালন করলেন। আমরাও আমার ছেলে সহ চার শহিদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানালাম। অন্যায়ভাবে বুথে ঢুকে সেদিন ওদের গুলি করে যারা মারল, সেই জওয়ানদের এখনও কেন্দ্রীয় সরকার আড়াল করে রেখেছে। আমরা এর ধিক্কার জানাই।”