বৃহস্পতিবার পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে সংসদ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা আগেই ছিল। সেই মতোই পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারির ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত সংসদ। আজ দফায় দফায় বিরোধী দলগুলি রাজ্যসভা এবং লোকসভায় এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখায়। একাধিকবার মুলতুবি হয় কার্যপ্রণালী। এমনকি পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে যায় যে সারাদিনের মত মুলতুবি করে দিতে হয় রাজ্যসভার কার্যক্রম। এদিন সকাল থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে ফোনের মডেল হাতে নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। লোকসভাতেও চলে প্রতিবাদ। সেখানে অংশ নেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এরপর দুপুর ২টোর সময় রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পেগাসাস সম্পর্কে বিবৃতি দিতে উঠলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ আরও তীব্র হয়। মন্ত্রীর বিবৃতি নয়, পূর্ণাঙ্গ আলোচনা চাই। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাই। এটাই ছিল তৃণমূলের দাবি। তাই, মন্ত্রীকে যাতে বিবৃতি পেশ করতে না পারেন সেই চেষ্টা করেন ডঃ শান্তনু সেন। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী দুর্ব্যবহার করেন সাংসদদের সাথে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে মন্ত্রীর কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন শান্তনু সেন। সেই দাবি নাকচ করে আরজেডি নেতা মনোজ ঝা দাবি করেন, কাগজ কাড়া হয়েছিল মাত্র। ছেঁড়া হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী সাংসদদের উদ্দেশ্যে এমন সব শব্দ ব্যবহার করেন যা সংসদীয় পরম্পরার পরিপন্থী।