অনেক প্রশ্ন, জোট, জটিলতা হলো। এবার দেশের নেতৃত্বে আসুক কোনও মহিলা। এই মুহূর্তে সেই পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’কেই যোগ্যতম ব্যক্তিত্ব বলে মনে করছেন জয়া বচ্চন। তেমনটাই জানালেন বুধবার। তিনি বলেন, মমতার নেতৃত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আমি তা দেখে এসেছি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একজোট করতে পারেন একমাত্র মমতাই। তাহলে কেন দেশের নেতৃত্বে একজন মহিলা আসবেন না?
স্রেফ সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার এই এমপিই নন, তৃণমূলের আয়োজনে নয়াদিল্লিতে ২১ জুলাইয়ের স্মরণ অনুষ্ঠানে মমতার পাশে থাকারই বার্তা দিয়ে গেলেন বিজেপির বিরোধী দলের একঝাঁক এমপি। এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার থেকে শুরু করে কংগ্রেসের পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো অসংখ্য হেভিওয়েট নেতা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে’র তিরুচি শিবা, সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার এমপি রামগোপাল যাদব, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি, টিআরএসের কে কেশব রাও, শিরোমণি অকালি দলের সর্দার বলবিন্দর সিং, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ানের অনুরোধে এঁরা হাজির হলেও আদতে সবটাই বিজেপি বিরোধী মহাজোটের মহড়া বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির আগ্রাসন আটকে বাংলায় বিপুল জয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন, তা জানতে সকাল থেকেই আগ্রহী ছিল দিল্লি। অনুষ্ঠানে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত নেতানেত্রীদের সামনে তুলে ধরেন শহিদ দিবসের ইতিহাস। জানিয়ে দেন, যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনের। আজ সেই পরিচয়পত্রেই ভোট হয় দেশজুড়ে, যা মমতারই জয়। সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, মালা রায়, মহুয়া মৈত্র, অর্পিতা ঘোষ, শান্তনু সেনের মতো তৃণমূল এমপিরা কনস্টিটিউশন ক্লাবে হাজির হয়ে দলনেত্রীর ২১শের বার্তা শোনেন।