কৃষকদের আন্দোলন কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল দিল্লী। বন্ধ রাখা হল একাধিক রাস্তাও। ‘অধিবেশন কীভাবে হয়, সরকারকে শেখাবে কৃষকরা’, বার্তা টিকায়েতের, আলোচনায় রাজি কৃষিমন্ত্রীও। সংসদ অধিবেশন কীভাবে হয়, তা সরকারকে শেখাতেই যন্তর মন্তরে বসেছে কিসান সংসদ। থাকছে স্পিকার, সদস্য- সকলেই। বুধবারই দিল্লী পুলিশের কাছ থেকে কৃষি আইন নিয়ে দিল্লীর যন্তর মন্তরে আন্দোলনের অনুমতি পেয়েছে কৃষকরা।
পায়ে হেঁটে সীমান্ত থেকে সংসদ ভবন অবধি যাওয়ার আবেদন জানালেও পুলিশের জোগাড় করে দেওয়া বাস ও এসইউভি গাড়িতে করেই এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ যন্তর মন্তরে এসে পৌঁছান। “কৃষকরাও নিজেরা সংসদ অধিবেশন বসাতে পারেন। আট মাস আগে ওনারা (কেন্দ্র) আমাদের কৃষক বলেও ভাবতেন না। অন্তত এখন আমাদের কৃষক ভাবছেন। সরকার কেবল নিজেদের শর্তে কথা বলেন।” এমনই মন্তব্য করলেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত।
অন্যদিকে, সংসদের ভিতরেও কৃষি আইন নিয়ে কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ ভবনের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, “নতুন কৃষি আইন কৃষকদের পক্ষে লাভজনক। যদি কৃষকরা নিজেদের সমস্যার কথা বলেন, তবে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। মোদী সরকার কৃষক দরদী সরকার, এই বিষয়ে আমরা আগেও কথা বলেছি কৃষকদের সঙ্গে।” এই সংসদে আলোচ্য বিষয় শুধুই কৃষি আইন ও তা প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তা। দিল্লী পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই সিংঘু সীমান্ত থেকে দিল্লীর যন্তর মন্তরে পৌঁছলেন আন্দোলনকারী ২০৬ জন কৃষক।