একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রকাশ্যে এসে পড়ছে নেতাদের মধ্যেকার কলহ। এবার ফের সামনে চলে এল গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয়ে যাবে তৃণমূলের হাইভোল্টেজের শহীদ স্মরণ সমাবেশ। যার দেখাদেখি এবার প্রথম শুরু হচ্ছে বিজেপির শহীদ তর্পণ পালন। কিন্তু তা নিয়েই আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ল দল। কারণ হেস্টিংস অফিসে বেলা দেড়টায় শুরু হতে চলা বিজেপির এই কর্মসূচীর নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এই কর্মসূচী নিয়েই মুরুলিধর সেন লেনের অন্দরে ফাটল দেখা দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানের ‘নকল’ করেই শুরু হল বিজেপির এই কর্মসূচী। আবার কেউ কেউ এমন প্রশ্নও তুলছেন যে, তৃণমূল থেকে আসা নেতার হাত ধরেই এই কর্মসূচী করতে হবে? বিজেপির নেতা কি কম পড়েছিল?
এই কলহ পরিস্থিতিতে হেস্টিংস অফিস ভরাতে এখন দলের তরফে কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে ঠিক ছিল, দিলীপ ঘোষ রাজঘাটে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। কিন্তু দলের অন্দরে ফাটল চওড়া হতেই তড়িঘড়ি দিল্লী থেকে ভার্চুয়ালি দিলীপ ঘোষকে দিয়ে হেস্টিংসের শহীদ তর্পণে ভাষণ দেওয়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এর বিজেপি নেতা বলেন, ‘রাজ্যে দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ। এখন দিলীপকে ছাপিয়ে যাচ্ছে শুভেন্দু। তাই নিয়ে দলের অন্দরে মতপার্থক্য তৈরি হচ্ছে।’ পাল্টা দিলীপ শিবিরের দাবি, দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতির সুযোগে রাজ্য বিজেপিকে কেউ কেউ ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করতে পারে, আমরা তা হতে দেবো না। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।