করোনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ প্রথম ঢেউয়ের শুরু থেকেই। কিন্তু সেই সংখ্যা কত, তার সঠিক হিসাব নেই কারোর কাছেই। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সরাসরি সংক্রমণেই নয়, যাবতীয় কারণে মৃত্যুকেও প্যানডেমিক পূর্ব সময়কালের সঙ্গে তুলনা করে মৃতের সংখ্যার এই আন্দাজ তৈরি করা হয়েছে। সরকারি খাতায় ৪ লক্ষ, বাস্তবে ৪৯ লক্ষ! দেশে করোনায় আসল মৃতের সংখ্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।
প্রায় সময়ই বিভিন্ন রাজ্যে করোনায় মৃতদের তথ্য পুনর্যাচাই করা হয়, ফলে একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা। সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশে করোনায় মৃতের প্রকাশিত তথ্যের তুলনায় প্রায় ৪৯ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।
প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের সহযোগিতায় প্রকাশিত এই রিপোর্টে করোনা মহামারীর শুরু থেকে চলতি বছরের জুন মাস অবধি সমস্ত মৃত্যুর হিসাব করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট(Delta Variant)-র দাপটে গত এপ্রিল-মে মাসে আছড়ে পড়া দ্বিতীয় ঢেউয়ে কমপক্ষে ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে কেবল মে মাসেই। যদিও প্রাশিত ওই রিপোর্টে দাবি, সংক্রমণে হাজার হাজার মানুষ নয়, বরং লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নির্দিষ্ট সংখ্যা না মিললেও করোনায় দেশে কমপক্ষে ৩৪ লক্ষ থেকে ৪৯ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। কেন্দ্রের তরফে এখনও অবধি দেশে করোনা সংক্রমণে ৪ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও নিউইয়র্ক টাইমসের দাবি, ভারতে কমপক্ষে ৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরও দাবি, দেশে করোনায় মৃত্যুর একটা বড় অংশই হিসাবের বাইরে রয়ে গিয়েছে, কারণ পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাবে বহু মানুষ বিনা করোনা পরীক্ষাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের ঠিক পরেই অর্থাৎ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।