গোটা দেশেই আলোচনা তাঁকে নিয়ে। ২১ জুলাই সকালে কলকাতায় পা রাখলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁকে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের পর এবং সর্বোপরি পেগাসাসে নাম জড়ানোর পর এই প্রথম তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে নিয়ে তুমুল চর্চার অবকাশ থাকছে। যেমন জোর জল্পনা, চাণক্যকে পাশে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তাই নিয়েও।
পেগাসাস নিয়ে দেশের ঝড় উঠেছে। অভিযোগ দেশের দুঁদে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীদের ফোনে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতা হয়েছে। আর এই তালিকার শীর্ষে ছিল প্রশান্ত কিশোরের নাম। নাম জড়িয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের গাঁটছড়ায় যার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি তালিকায় নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মসহায়কেরও। অভিষেক-কিশোরের চলাফেরা গতিবিধিতে নজর রেখেছে কোনও তৃতীয় পক্ষ, এ হেন অভিযোগ নতুন রাজনৈতিক তরজার জন্ম দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাই তিনি এখন কী বলছেন, তা জানতে তুমুল আগ্রহ রাজনীতিপ্রিয় মানুষের। এই ঘটনা সামনে আসতেই প্ৰশান্ত কিশোর দ্য ওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এসব করে যে কিছু করা যায় না, তা তো প্রমাণিতই’।
অবশ্য স্রেফ পেগাসাসই নয়, প্রশান্ত কিশোরের কলকাতা ফেরার অন্য তাৎপর্যও রয়েছে। শেষ এক মাসে তিনি বেশ কয়েকবার দেখা করেছেন শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। কিশোরের দিল্লিগমনের ক্লাইম্যাক্স, গোটা গান্ধি পরিবারের সঙ্গেই তাঁর বৈঠক। এই বৈঠকের পর গোটা দেশে সাড়া পড়ে য়ায়। একদল বলতে থাকেন, ফের কংগ্রেসের দায়িত্ব নিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। অন্য একটি দল বলছেন, মমতার সঙ্গে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ কিশোরের আইপ্যাক। এবং তাঁর লক্ষ্য কংগ্রেসে ফেরার থেকে কয়েক সহস্রগুণ বড়। পর্যবেক্ষকরা চাইছেন, বিজেপি বিরোধী শিবির জোট বাঁধুক ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে। আর সেই সেতুবন্ধনের নেপথ্য কারিগর হবেন তিনিই। প্রয়োজনে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের দায়িত্ব নেবেন ওই বৃহত্তর স্বার্থকে সামনে রেখেই। ঘুরিয়ে বললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিশন ২০২৪-রথের সারথি আসলে তিনিই। মমতার বার্তা নিয়েই তিনি গিয়েছিলেন রাজধানীতে। ফলে এই ঘটনাপ্রবাহের পরে আজ তাঁর উপস্থিতি যে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।