সোমবারই প্রকাশ্য সভা থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের কথায় এমন কিছু করবেন না যাতে কাশ্মীরে ডিউটি করতে হয়’। এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুভেন্দু অধীকারীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পুলিশ।
তবে শুধু পুলিশকে ‘হুমকি’ দেওয়া নয়, ফোনে আড়িপাতা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযগেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, করোনা বিধি উপেক্ষা করে জমায়েত করার জন্য বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রয়োজনে বিরোধী দলনেতাকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে কেসে ফাঁসানো এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সোমবার পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও অভিযানে ডাক দেয় বিজেপি। তাতে যোগ দেন শুভেন্দুও। মিছিল ও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর ছোট জনসভাও করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
ওই সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে কোন পুলিশকে কী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তার সব তথ্য কল রেকর্ডিং তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। গত দুদিন ধরে পেগসাস স্পাইওয়্যারে নেতা-মন্ত্রী-সাংবাদিক-বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে। শুভেন্দু সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন বলে মঙ্গলবার একটি টুইটও করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এরপরই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করল পুলিশ।