কেন্দ্রকে পেগাসাস নিয়ে চূড়ান্ত আল্টিমেটাম দিল তৃণমূল। এদিন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে আগে সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে হবে, নয়ত সংসদের অধিবেশন চলতে দেবে না তাঁর দল। উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি ও ডিএমকে সাংসদরা এদিন সকালেই বৈঠক করেছেন। তাঁরা সংসদের দুই কক্ষে এই পেগাসাস ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করে।
দুপুরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে ডেরেকের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিরোধীদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। এই নিয়ে কোনওরকম আপস করা উচিত হবে না। তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্য, যতক্ষণ পর্যন্ত না পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্র আলোচনা করছে এবং যথাযথ উত্তর দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সংসদের উভয় কক্ষ অচল রাখব।
তৃণমূলের দাবি, পেগাসাস নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। আগামী দিনগুলিতে সংসদের দুই কক্ষেই পেগাসাস নিয়ে বিরোধিতা চালিয়ে যাবে তৃণমূল। ডেরেকের কথায়, ‘ভারতের সাংবাদিক, নেতাসহ ৩০০ জনের ফোনের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। পেগাসাস বলছে, তারা শুধু সরকারকে সফটওয়ার বিক্রি করে। কেন্দ্র তাহলে স্পষ্ট করে জানাক, তাদের কোনও মন্ত্রক বা কোনও সংস্থা পেগাসাস ব্যবহার করছে কি না’।
উল্লেখ্য, পেগাসাস ইস্যুতে আজও তুলকালাম বাঁধে সংসদে। এই নিয়ে আলোচনার দাবিতে পাশাপাশি থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গলা চড়াল যুযুধান সিপিএম ও তৃণমূল। বিরোদীদের হট্টগোলের জেরে এদিন দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। সংসদের সব কাজ সরিয়ে রেখে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দেয় তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআইএম ও আম আদমি পার্টি।