১৯৯৩-এর ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে যুব কংগ্রেসের রাইটার্স বিল্ডিংস অভিযানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জন কর্মী-সমর্থকের। সেই থেকে ওই দিনটি শহীদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ২১ জুলাই, শহীদ দিবসকে জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে উত্তরণ ঘটাতে চাইছে তৃণমূল। আগেই দল জানিয়েছিল, এবার দিল্লী-সহ একাধিক রাজ্যে ২১ জুলাই পালন করা হবে। শুধু তাই নয়, যোগীর গড়েও দিদির ভাষণ শুনতে পারবে সাধারণ মানুষ। কারণ এবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে পালিত হবে তৃণমূলের একুশে জুলাই। এই কর্মসূচীকে ঘিরে ইতিমধ্যেই লখনউয়ে তৃণমূল কার্যালয়ে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নানান প্রস্তুতি সেড়ে রেখেছে উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি নীরজ রায় জানান, উত্তরপ্রদেশের যতটা সম্ভব বেশি এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ব্লক থেকে এলাকা এমনকী গ্রামেও মমতার ভাষণ শোনানো হবে। সেজন্য যতটা বেশি সংখ্যক জায়েন্ট স্ক্রিনও লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে দল। প্রদেশ তৃণমূল সভাপতির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনার জন্য মুখিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তৃণমূলকে নিয়ে যুবদের মধ্যে অসম্ভব জোশ রয়েছে। এবারের এই কর্মসূচীতে সমমনস্ক বিরোধী দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান নীরজ রায়। লখনউ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর, বারাণসী, আজমগড়,বরেলিতে ২১ জুলাই কর্মসূচী পালন করবে তৃণমূল।