অস্বস্তিতে পড়ল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা অবিলম্বে জানানোর নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কমিশন থেকে গত ১৬ই জুলাই এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিবকে একাধিক অভিযোগ পত্রের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে আইনানুগ এবং যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও কমিশনকে দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের নানা বিতর্কিত কাজকর্ম সহ নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে দফায় দফায় চিঠির পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিশ্বভারতীর নানা অনৈতিক কাজ এবং অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ সহ অরাজক পরিস্থিতি দূর করার জন্য ই-মেল পাঠানো হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে এদিন ইউজিসির পক্ষ থেকে আন্ডার সেক্রেটারি এএস সাজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসচিবকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রছাত্রীদের অনৈতিক সাসপেনশন নিয়ে এসএফআই বিশ্বভারতী লোকাল কমিটি থেকে ইউজিসিকে মেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউএফএ-র পক্ষ থেকেও করোনার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চলতি মাসের শেষেই বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতির মূল্যায়নে ন্যাকের টিম আসার কথা। তার আগে এই চিঠি যে উপাচার্যের অস্বস্তি বাড়াল তা বলাই বাহুল্য। এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।