এর আগে শিশু পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীর। এবার সরাসরি বিজেপি যোগের প্রমাণ না মিললেও শিশু পাচারের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদ ঘনিষ্ঠ এক স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে বাঁকুড়ার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কেকে রাজোরিয়া-সহ পাঁচজনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন স্কুল কর্মীও রয়েছেন। সোমবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের বাসিন্দা কেকে রাজোরিয়া গত চার বছর ধরে তিনি বাঁকুড়ার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনেন স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ বাউরি। তিনি বলেন, ‘স্কুলের পাশেই আমাদের দলীয় কার্যালয়। এদিন আমাদের কর্মীরা দেখেন চার শিশুকে জোর করে ৬০ (এ) জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি মারুতি ভ্যানে তোলা হচ্ছে। সেই সময় সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল। তাতে আমাদের ছেলেদের সন্দেহ হয়। এরপরই ওরা ছুটে যায়। কিন্তু ওই প্রিন্সিপ্যাল তখন সেখান থেকে পালিয়ে যান। তাতে আরও সন্দেহ বাড়ে।’
অভিযোগ, এরপরই দেখা যায় ওই গাড়ির ভিতরে চার শিশুকে তোলা হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন চার শিশুকেই উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হন প্রিন্সিপ্যাল, স্কুলের এক কর্মী-সহ পাঁচজন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক ভার্মা বলেন, ‘দুই শিশু কন্যাকে বেআইনি ভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়া-সহ একাধিক বেআইনি কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তদন্তও চলছে।’ জানা গিয়েছে, বেশ কিছু প্রমাণও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া-১ ব্লকের কালাপাথর এলাকায় অবস্থিত জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে নিয়মিত প্রচুর শিশু পড়তে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রিন্সিপালের নামে এমন অভিযোগ সামনে আসায় ভয়ঙ্কর আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ধৃত প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের একটি ছবি পোস্ট করে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।