এর আগে শিশু পাচারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের। এবার সরাসরি বিজেপি যোগের প্রমাণ না মিললেও শিশু পাচারের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বিজেপি সাংসদ ঘনিষ্ঠ এক স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। আর তারপরেই এ নিয়ে সরব তৃণমূল। বিজেপিকে নিশানা করে টুইট করলেন রাজ্যের নারী, শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের বাসিন্দা কমলকুমার রাজোরিয়া গত চার বছর ধরে তিনি বাঁকুড়ার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনেন স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ বাউরি। তিনি বলেন, ‘স্কুলের পাশেই আমাদের দলীয় কার্যালয়। এদিন আমাদের কর্মীরা দেখেন চার শিশুকে জোর করে ৬০ (এ) জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি মারুতি ভ্যানে তোলা হচ্ছে। সেই সময় সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল। তাতে আমাদের ছেলেদের সন্দেহ হয়। এরপরই ওরা ছুটে যায়। কিন্তু ওই প্রিন্সিপ্যাল তখন সেখান থেকে পালিয়ে যান। তাতে আরও সন্দেহ বাড়ে।’
অভিযোগ, এরপরই দেখা যায় ওই গাড়ির ভিতরে চার শিশুকে তোলা হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন চার শিশুকেই উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হন প্রিন্সিপ্যাল, স্কুলের এক কর্মী-সহ পাঁচজন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক ভার্মা বলেন, ‘দুই শিশু কন্যাকে বেআইনি ভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়া-সহ একাধিক বেআইনি কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তদন্তও চলছে।’ জানা গিয়েছে, বেশ কিছু প্রমাণও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
বাঁকুড়ার ওই প্রিন্সিপাল কমলকুমার ছাড়াও আরও সাত জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছেন স্কুলের এক শিক্ষিকাও। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তা নিয়ে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। সোমবার এ নিয়ে বিজেপি-কে বিঁধে টুইট করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ছবিও। ওই ছবিতে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অধ্যক্ষ কমলকুমারকে। শশীর প্রশ্ন, ‘বাঁকুড়ার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শিশু পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সঙ্গে তাঁর এই সংযোগ উদ্বেগজনক। বিজেপি কি এই সব অপরাধীদের আশ্রয় দেয়?’