১৯৯৩-এর ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে যুব কংগ্রেসের রাইটার্স বিল্ডিংস অভিযানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৩ জন কর্মী-সমর্থকের। সেই থেকে ওই দিনটি শহীদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ২১ জুলাই, শহীদ দিবসকে জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে উত্তরণ ঘটাতে চাইছে তৃণমূল।
সশরীরে নয়, ওইদিন ভার্চুয়ালি দিল্লী পৌঁছে যাবেন মমতা। ফলত দলনেত্রীর বার্তা গোটা দেশে পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। একাধিক রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে শোনা যাবে ভাষণ। আর তালিকাভুক্ত রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত।
জানা গিয়েছে, গুজরাতের ৩২টি জেলায় মোট ৫০টি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে ভাষণ শোনানো হবে দিদির। জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হবে দিল্লীতেও। পাশাপাশি যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলাতেও জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই ব্যবস্থাপনা থাকছে তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, আসাম ও ত্রিপুরাতেও। সবমিলিয়ে অন্তত ৬ থেকে ৭টি রাজ্য মমতার ২১ জুলাইয়ের ভাষণ শুনতে চলেছে। ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস গুজরাত প্রদেশ’–এর তরফ থেকে সামনে আনা হয়েছে একটি গুজরাতি পোস্টারও। রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে দলনেত্রীর উদ্দেশ্যে মোদীর ‘দিদি, ও দিদি’ ডাক অপমানজনক বলে অভিযোগ তুলে ধরেছিল ঘাসফুল শিবির। সেই কারণেই গুজরাতি ওই পোস্টারে ‘দিদি’ শব্দটির উল্লেখ করা হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।