বাংলাদেশের কোনও নাগরিক ভারতের মন্ত্রী হতে পারেন না। বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করায় এবার ঠিক এই ভাষাতেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। নিশীথের নাগরিকত্ব বিতর্ক ইস্যু সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলি সংস্থা পেগাসাসের ফোনে আড়িপাতার ঘটনাও সংসদে তোলা হবে বলে দাবি ডেরেকের।
নিশীথ ইস্যু প্রসঙ্গে সোমবার ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কোনও নাগরিক ভারতের মন্ত্রী হতে পারেন না। আমরা সংসদে এই ইস্যু তুলব’। উল্লেখ্য, নিশীথ প্রামাণিক আদতে বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছেন আসামের সাংসদ রিপুন বোরা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। রিপুন বোরার দাবি, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে নিশীথ প্রামাণিক আদতে একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
তিনি বলেছেন, মোদী মন্ত্রিসভার কনিষ্ঠতম এই মন্ত্রীর জন্মস্থান হরিনাথপুর। যা বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার অন্তর্গত। শুধু তাই নয়, নিশীথ বাংলাদেশ থেকে বাংলায় একটি কম্পিউটার কোর্স করতে এসেছিলেন। সেই কোর্স শেষ করেই তিনি প্রথমে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করে কোচবিহারের সাংসদ নির্বাচিত হন। এমনকী, নিশীথ নিজের নির্বাচনী হলফনামায় কোচবিহারের ঠিকানার ক্ষেত্রেও ভুয়ো তথ্য পেশ করেছেন বলেও অভিযোগ।
রিপুনের দাবির পরেই নিশীথের নাগরিকত্ব ইস্যুতে সরব হয়েছে জোড়াফুল শিবির। মোদী সরকারকে নিশানা করে ডেরেক অভিযোগ করেছেন যে, ‘মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হোক চায় না সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু নিজের মত চাপাতে চায়। যেভাবে সংসদ চলছে তা বেআইনি। বিরোধীদের কন্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। ফোনে আড়িপাতার ঘটনায় আরও অনেকের নাম বেরোবে।’