বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর বিজেপিকে কার্যত কোণঠাসা করেই, তৃণমূল ঘোষণা করেছে, এ বার তারা অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়েই ঘোষণা করেছেন, অন্তত ১০টি রাজ্যে তিনি তৃণমূলের সংগঠন তৈরি করবেন। পাশাপাশি এ বার ২১শে জুলাই উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তৃতাও বিভিন্ন রাজ্যে শোনানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। এবং, গুজরাত সেই তালিকায় অন্যতম বড় চমক। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে ২১শে জুলাই মমতার ভার্চুয়াল উপস্থিতির সংবাদ রীতিমতো গুজরাতি ভাষায় পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার করা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মমতার ভার্চুয়াল বক্তৃতা সম্পর্কে গুজরাতের পোস্টারে নির্দিষ্ট ভাবে ‘দিদি’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে লেখা হয়েছে মমতার নাম। তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসেবে তিনি ওই বক্তৃতা দেবেন বলেও উল্লেখ রয়েছে। এই ঘোষণা করছে ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, গুজরাত প্রদেশ’। পাশাপাশি, পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ২১শে জুলাইয়ের রাজনৈতিক বক্তৃতায় মমতা মোদী-শাহকে নিশানা করে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় বিঁধবেন। সেই জন্য মোদী- শাহের গুজরাতে তাঁর বক্তৃতা সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গোটা গুজরাত জুড়েই বড় পর্দায় মমতার বক্তৃতা শোনানোর আয়োজন হচ্ছে। সেখানে ৩৩টি জেলা। তার মধ্যে ৩২ জেলাতেই এই ব্যবস্থা থাকবে। উত্তরপ্রদেশেও এই রকম তোড়জোড় চলছে। সেখানে লখনউ ও অযোধ্যার দু’জায়গায় ব্যবস্থা এগিয়েছে। জায়গা আরও কয়েকটি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে তৃণমূলের খবর। পাশাপাশি, ব্যবস্থা থাকছে তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা ও অসমেও।
