একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান যাতে রাজ্যের বাইরে দেশের অন্যত্র পালিত হয়, সেই উদ্যোগ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। একুশে জুলাইয়ে এবার একাধিক রাজ্যে জায়েন্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে দিদির বক্তৃতা শোনানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। তার মধ্যে অন্যতম উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। এবার সেখানের রাজ্য নেতৃত্বকে ডাকা হল কলকাতায়। তলব পেয়ে কলকাতায় হাজির হন ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং। ২১শে জুলাইয়ের আগেই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠক হয় তাঁর। এবার ২১শে জুলাই ত্রিপুরাতেও পালন করা হচ্ছে, সূত্রের খবর তারই ব্লু প্রিন্ট তৈরিতে এই তলব।
ত্রিপুরা রাজ্য তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিং জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে ৫ জায়গায় আমরা জায়েন্ট স্ক্রিন বসাচ্ছি। সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যের লাইভ সম্প্রচার দেখানো হবে৷ আগরতলা দু’জায়গায়, ধর্মনগর- সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ইতিমধ্যেই বাছাই করা হয়ে গিয়েছে। ২১ জুলাই সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে সাইকেল র্যালি। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচী নিয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস।’ কিন্তু ত্রিপুরায় ২১ জুলাই পালন নিয়ে তৃণমূল এত উৎসাহিত কেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় স্তরে বার্তা যাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ই দেশের প্রধান বিজেপি বিরোধী মুখ।
আশিসবাবু জানিয়েছেন, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে সুধীররঞ্জন মজুমদার যা শুরু করেছিলেন। তা ধীরে ধীরে কয়েকজনের স্বার্থের কারণে পিছিয়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। ২০১৩ থেকে তার চেষ্টায় ভাল ফল হয়৷ কংগ্রেসের কিছু বিধায়কও যোগ দেন তৃণমূলে৷ তবে বামেদের বিরুদ্ধে যে লড়াই জোড়া ফুল শুরু করেছিল তা ক্রমে পদ্ম ফুল হাতিয়ে নেয়। তিনি এ-ও বলেন, ‘আমরা দিদিকে ব্যতিব্যস্ত করিনা। কারণ আমাদের ওখানের নেতারা দিদিকে বারবার প্রতারিত করেছেন। দিদি রেল মন্ত্রকে থাকাকালীন একাধিক উপহার দিয়েছেন ত্রিপুরার জন্যে। তবে মমতা বন্দোপাধ্যায় যে ত্রিপুরার মানুষের পাশে আছেন তা বোঝাতে, ২১ জুলাই এবার পালন করব। এবার ব্যাপক হবে৷ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে এবার যাব। আশা করছি এবার মমতা-অভিষেক আসবে।’