ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। এর মধ্যেই কমিশনের সদস্য আতিফ রশিদের সঙ্গে বিজেপি যোগ নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস নেতা তথা নারদ মামলায় তৃণমূলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর দাবি, বিজেপির ১০টির বেশি পদে থেকেছেন আতিফ রশিদ।
কে এই আতিফ রশিদ? তিনি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। সম্প্রতি রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কমিশন যে কমিটি তৈরি করেছে তাতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মানবাধিকার কমিশন ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র যে তালিকা জমা দিয়েছে, যেখানে একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেই তালিকা তৈরির কমিটিতে দ্বিতীয় নামই আতিফ রশিদের।
এবার তাঁরই বিজেপি যোগের কথা সামনে এনে মনু সিংভি টুইটে লিখেছেন, ‘এখন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস–চেয়ারম্যান এবং রাজ্যে নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে অশান্তির ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের দলের অন্যতম সদস্য আতিফ রশিদ একসময় বিজেপির ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন, যুব মোর্চার সর্বভারতীয় পদে ছিলেন। তিনি দিল্লিতে সংখ্যালঘু মোর্চারও শীর্ষ পদেও ছিলেন’।
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মাবাধিকার কমিশন রিপোর্ট জমা দেবার পর থেকেই তাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে সরব হয়েছিল তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এই রিপোর্ট ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে’। অবিষেক মনু সিংভিও সেই ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’র কথাই বললেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।