ফের বিতর্কের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ গুজরাতের গান্ধীনগরে একটি রেল স্টেশন উদ্বোধন করেন তিনি। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে টানা সম্প্রচারকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কে। উল্লেখ্য, সাধারণত সরকারি কোনও অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে দূরদর্শন। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সচরাচর সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান দেখানো হয় না। কিন্তু আজকের এই সম্প্রচারে হতবাক আম জনতা। ভারতের মত ঘটনাবহুল দেশে গুরুত্বপূর্ণ খবরের অভাব নেই। এই অবস্থায় একটি রেল স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এত দীর্ঘ সময় ধরে কেন সম্প্রচার করল সংবাদমাধ্যমের একাংশ, প্রশ্ন তুললেন অনেকেই। তাদের বক্তব্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত আছেন বলেই কি এই খবর এত দীর্ঘায়িত, বাকি সব খবর ব্রাত্য? উঠছে প্রশ্ন।
এদিন নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গান্ধীনগর রেল স্টেশন, অ্যাকোয়াটিক এবং রোবোটিক্স গ্যালারি, গুজরাট বিজ্ঞান সিটির নেচার পার্ক সহ অনেক প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অ্যাকোয়াটিক-রোবোটিক্স গ্যালারি এবং নেচার পার্ক সবথেকে বেশি আলোচিত। আর বেসরকারি খবরের চ্যানেলগুলি এই অনুষ্ঠানেরই লাইভ টেলিকাস্ট দেখাল প্রায় ১ ঘন্টা ধরে। যাতে বেশ বিরক্ত নেটিজেনরা। অনেকেরই প্রশ্ন, ১৪০ কোটির দেশে যেখানে প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার ঘটনা ঘটে যায়, সেখানে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ৪৫ মিনিট ধরে সম্প্রচার সত্যিই কি বিলাসিতা নয়? বার বারই জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে। নেটিজেনদের মতে, দেশের করোনা পরিস্থিতি ও অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগে মহিমান্বিত করতে মরিয়া সংবাদমাধ্যমগুলি।
অভিযোগ উঠছে, সরকারি সংস্থাগুলির টুইটার হ্যান্ডেল ব্যবহার করেন চলছে প্রচার। এমনকী কলকাতা মেট্রো রেলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যাণ্ডেলকেও কাজে লাগানো হয়েছে গান্ধীনগর স্টেশন এবং গুজরাটের প্রচার করার জন্যে। কলকাতা মেট্রো রেলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে গান্ধীনগর রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে এই অপব্যবহার নিয়েও।।এ বিষয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। টুইটে লিখেছেন, এই হ্যান্ডেলটিকে অন্তত প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ হোক।