একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই ভোটকে সামনে রেখে সংগঠনে বড়সড় রদবদল করতে চলেছে বাংলার শাসক দল। ইতিমধ্যে একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান যাতে রাজ্যের বাইরে দেশের অন্যত্র পালিত হয়, সেই উদ্যোগ নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার দেশ জুড়ে সংগঠনকে যাতে ছড়িয়ে দেওয়া সেই লক্ষ্যেই নামছে তৃণমূল। পাশাপাশি এক ব্যক্তি এক পদ নীতিকে কার্যকর করতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই সাংগঠনিক স্তরে দলের খোলনলচে বদল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ময়দানে নামার আগে উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরায় ভোটে লড়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে দলের মধ্যে। উত্তরপ্রদেশের বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরখপুর, আজমগড়, বারাণসী, মির্জাপুর, এলাহাবাদে তৃণমূলের কার্যালয় চালু হয়েছে। এই সব জায়গায় দল যাতে ভালো ফল করে, সেই লক্ষ্যেই দলের খোলনলচে এবার বদলাতে চাইছে তৃণমূল। এক্ষেত্রে দলের সব শাখা সংগঠনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ খুব তাড়াতাড়ি দলীয় নেতৃত্বের তরফে দেওয়া হবে জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, যোগীর রাজ্যে কানপুর, বারাণসী-সহ আরও বহু জায়গায় অনেক প্রবাসী বাঙালি রয়েছেন। সেই সব বাঙালিদের এককাট্টা করতে ও তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী বছরের গোড়ার দিকে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার ভোট। তাই ওই রাজ্যে এখন থেকে দলের প্রসার ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রমশ বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যেও সংগঠন গড়ে তোলা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।