এবার থেকে কালো রঙের পোশাক এমনকী কালো টুপি, কালো মাস্ক পরে এলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় ঢোকার অনুমতি মিলবে না! হ্যাঁ, বৃহস্পতিবারই বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শুনতে যারা কালো রঙের পোশাক পরে এসেছিলেন, তাদের ঢুকতেই দেয়নি পুলিশ। এমনকী আরএসএস কর্মীদের মাথা থেকে কালো টুপি খোলানো হয়েছিল। কালো মাস্ক পরাদেরও রেয়াত করা হয়নি। অঙ্গে কালো রঙের কিছু দেখলেই তেড়ে এসেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। খোদ প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশেই যোগী রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকরা এতটা সক্রিয় হয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট মাস বাদে গতকাল নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীতে পা রেখেছিলেন মোদী। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় আইআইটি ময়দানে এক জনসভায় ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখার আর ভাষণ শোনার লোভ সামলাতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু সেই ভাষণ শুনতে জনসভায় হাজির হতে গিয়েই বিড়ম্বনার মুখে পড়লেন অনেকে। কালো জামা কিংবা প্যান্ট পরা কাউকে জনসভায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বেশ কয়েকজন অবশ্য জামা খুলে বগলদাবা করে মাটে ঢুকেছেন। শিবম নামে স্থানীয় এক যুবক করোনা বিধি মানতে কালো মাস্ক পরে হাজির থাকতে চেয়েছিলেন জনসভায়। কিন্তু তাঁর কালো মাস্কেও পুলিশ আধিকারিকদের আপত্তি ছিল। শিবমকেও ফিরিয়ে দিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। সঙ্ঘের পোশাকবিধি অনুযায়ী, খাকি রঙের প্যান্ট ও সাদা টি শার্টের সঙ্গে মাথায় কালো টুপি থাকা বাধ্যতামূলক। এদিন সেই পোশাকবিধি মেনেই মাথায় কালো টুপি পরে মোদীর জনসভায় হাজির হয়েছিলেন স্বয়ংসেবকরা। পুলিশ তাঁদেরও রেয়াত করেনি। মাথা থেকে কালো টুপি খুলিয়েছে। এমনকি সেই কালো টুপি নিয়ে ভিতরেও যেতে দেয়নি। ফলে অনেক স্বয়ংসেবক জনসভা থেকে বাড়িমুখো হয়েছেন। কালো রঙের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ কেন? উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। ওপর থেকে যেমন নির্দেশ এসেছে, তেমনই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ তবে কে সেই কর্তা, তা নিয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।