করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রশংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব’। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী যাই বলুন না কেন টিকাকরণের দিক থেকে এগিয়ে বাংলা’।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ‘উত্তরপ্রদেশকে সবচেয়ে বেশি টিকা দেওয়া হচ্ছে। সে পাক। সকলের টিকার অধিকার আছে। কিন্তু বিজেপিশাসিত রাজ্য বলে বেশি টিকা পাবে। সেটা ঠিক নয়’। একইসঙ্গে যোগীর রাজ্যে ‘আইনের শাসন নেই’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
তবে একা তৃণমূল নেত্রী নয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক’ও ব্রায়েন-ও। তিনি প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যটিকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘১৫ জুলাইকে সহজে ১ এপ্রিল পরিণত করতে পারেন উনি’।
এদিন কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় যোগী সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় যোগী সরকার অতুলনীয় কাজ করেছে। সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য হয়েও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড পরীক্ষা করেছে উত্তরপ্রদেশে। সবচেয়ে বেশি মানুষের টিকাকরণও করেছে এই রাজ্য’।
তাঁর এই দরাজ সার্টিফিকেট নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। কারণ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে। নদীতে কোভিড রোগীর দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, অক্সিজেনের অভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগী মৃত্যুর খবর এসেছে। তার পরেও কীভাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে মোদী দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।