ট্রলার উলটে ফের দুর্ঘটনা ঘটল বকখালিতে। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, হৈমবতী নামের ওই ট্রলারে মোট ১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও, বর্তমানে নিখোঁজ ১০ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে গিয়েছিল হৈমবতী নামের ট্রলারটি। বুধবার ভোর পাঁচটায় তীরে ফিরছিল মৎস্যজীবীদের ওই ট্রলার। জানা গিয়েছে, রক্তেশ্বরী চরের কাছে আচমকাই পালটি খায় ট্রলারটি। আশেপাশে আরও কয়েকটি ট্রলার ছিল। সেই ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা কোনওক্রমে দু’জনকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে তল্লাশি চলছে এলাকায়।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “প্রায় ছ’-সাতদিন আগে নামখানা ১০ মাইলের একটি ট্রলার সমুদ্রে গিয়েছিল। আজ ভোরে ফেরার সময় বকখালি থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে রক্তেশ্বরী চরের কাছে আচমকা ট্রলারটি পালটি খায়। পাশাপাশি আরও অনেক ট্রলার ছিল। সকলে মিলে দু’ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে।” পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “তল্লাশি চলছে। বেলার দিকে ট্রলার উদ্ধার করা গেলেও। নিখোঁজ ১০ জন মৎস্যজীবী। আমরা খুব শীঘ্রই তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, গত মাসেই বকখালির জম্মু দ্বীপের কাছে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ট্রলারে ১৪ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ট্রলারটি যাতে পুরোপুরি ডুবে না যায়, সে জন্য সেখানে হাজির হয়েছিল অন্য ট্রলার। প্রথম লপ্তেই বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, ‘তারা মা’ নামক ট্রলারটি গত পরশু দিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে রওনা দিয়েছিল। এরপর আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়ায় ফিরে আসছিল ট্রলারটি। সেই সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছিলেন, ১৪ জন মৎস্যজীবী ওই ট্রলারে ছিলেন। ট্রলারটি ঘোরাতে গিয়েই জলের তোড়ে সেটি উলটে যায়। আশেপাশের ট্রলারের মৎস্যজীবীদের নজরে আসতেই তাঁরা এসে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু পুরোপরি জলের তলায় ডুবে যায় ট্রলারটি।