নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ভোটে ব্যবহৃত ইভিএম, ব্যালট পেপার-সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। আগামী ১২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
বুধবার শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশন পিটিশন বৈধ বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলায় মূল প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গণনাকেন্দ্রে যে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন তাঁকে ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিসের একটি করে কপি দেওয়া হবে।
এদিন আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গণনা সংক্রান্ত সব নথি ও ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রাখা হয়। কমিশনের তরফ থেকে গণনাকেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল। তাই ওই সব কেন্দ্রের ফুটেজ যাতে সংরক্ষিত থাকে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম আসনটি। ওই কেন্দ্র থেকে নিজেই ভোটে লড়বেন বলেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিরর তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশ হয়। প্রাথমিকভাবে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী ব্যালেট কাউন্টিংয়ে ১৯৫৩ ভোটে ওই আসনে জয়ী হয়েছেম। এরপরই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রভাব খাটিয়ে ওই আসনে জিতেছেন শুভেন্দু। দলের পক্ষ থেকে এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়। মামলার শুনানি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে শুরু হতেই পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে নন্দীগ্রাম মামলা ছেড়ে দেন তিনি। এরপর বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে এই মামলা স্থানান্তরিত করা হয়।