অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র। এবার কি তাহলে তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি? এই জল্পনাই চলছে রাজনৈতিক মহলে। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথাও হয়েছে সোমেন জায়া শিখা মিত্রের।
শিখার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। স্ত্রী বিয়োগের পর মুকুল রায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল সেটা। কিন্তু তেমনটা মানতে চাইছেন না রাজনীতির কারবারিরা। এর জন্য একাধিক উদাহরণ তুলে আনছেন তাঁরা।
সম্প্রতি বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন শিখা। বলেছিলেন, ‘একমাত্র মমতাই এখন বিজেপি বিরোধিতার প্রধান মুখ’। রোহনও পদ্ম শিবিরের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপির রাজনীতি যায় না। মালদা মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের লোকেরাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন’। ফলে দুয়ে দুয়ে চার করতে অসুবিধে হচ্ছে না রাজনৈতিক শিবিরের।
এর সঙ্গে উঠে আসছে বিধানসভা ভোটের ঠিক আগের ঘটনা। নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় নাম এসেছিল শিখা মিত্রের। চৌরঙ্গী বিধানসভায় বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোন এনে প্রার্থী হননি শিখা। ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তৃণমূলের প্রতি কিছুটা হলেও নরম তিনি। মমতার প্রশংসা সেটাই প্রমাণ করে।