গত মে মাসেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ‘শ্রম আইনের বিধিমালা বদলে শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা ভঙ্গ করা হয়েছে। আমরা এই ধরনের পদক্ষেপ করব না। বর্তমান শ্রম আইনকেই অনুসরণ করব।’ এবার সেই মতোই শ্রম আইন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত শ্রম বিধি মানতে নারাজ এ রাজ্যের অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠনই। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছে বাম ও কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের সঙ্গে সহমত রাজ্যও। দলীয়ভাবে এ রাজ্যে ওই আইন চালু করতে নারাজ তৃণমূলও।
কেন্দ্রের শ্রম আইনের পাল্টা নিজেদের খসড়া প্রস্তাব শ্রম দফতরে জমা দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। এ রাজ্যে যাতে এই বিধি না মানা হয় সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছে সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস বাদে রাজ্যের ৮টি শ্রমিক সংগঠন।
শ্রম আইনের যে বিষয়গুলিতে রাজ্যের আপত্তি সেগুলি হল- ৮ ঘন্টার নিয়ম তুলে দিয়ে কাজের নির্দিষ্ট সময় রাখা হচ্ছে না। ওভার টাইম ছাড়াই ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করতে হবে শ্রমিকদের। স্থায়ী চাকরি তুলে দিয়ে যখন ইচ্ছা নিয়োগ ও বিতারণ। আগে ন্যূনতম ৭ জন কর্মী থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করা যেত।
নতুন নিয়মে ন্যুনতম ১০০ জন বা মোট কর্মীর ১০% হলে তবেই শ্রমিক সংগঠন করা যাবে। আগে ১৪ দিনের নোটিশ দিয়ে ধর্মঘট হত। নতুন নিয়মে যতদিন আলোচনা চলবে ততদিন ধর্মঘট করা যাবে না। আগের নিয়মে ১০০ জন কর্মী থাকলেই কারখানা বন্ধ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে জানাতে হত। সেই সীমা বেড়ে হয়েছে ৩০০।