মাস কয়েক আগে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নজিরবিহীন কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্যঙ্গাত্মক সুরে ‘দিদি, ও দিদি’ স্লোগান দিয়ে অনেকের হাততালি কুড়িয়েছিলেন। যদিও নির্বাচনী ফলাফলে প্রমাণ হয়েছে বাংলার বেশির ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যঙ্গাত্মক কটাক্ষ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। ভোটে মুখ পড়েছে বিজেপির কার্যত বাংলা দখলের স্বপ্ন চুরমার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাদের যাবতীয় দর্পও চূর্ণ হয়েছে।কিন্তু কোথাও যেন বাকি রয়ে গিয়েছে, ‘দিদি, ও দিদি’ স্লোগানের প্রতিশোধ নেওয়া। এবার তাই সংসদ ভবনে ভরা সভায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ‘মোদী ও মোদী’ শ্লোগান তুলবেন তৃণমূল সাংসদরা।
সূত্রের খবর, সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে দেখলেই তীব্র কটাক্ষের ব্যঙ্গাত্মক সুরে মোদী ও মোদী স্লোগান তুলবেন তৃণমূলের সাংসদরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদের কথায়, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই শ্লোগান তুললেও স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারবে না বিজেপি। তার কারণ আমরা নরেন্দ্র মোদী বলব না। বলব, মোদী, ও মোদী। সেটি নীরব মোদী হতে পারে, আবার ললিত মোদীও হতে পারে। তবে এই স্লোগান যার উদ্দেশ্যে হবে তিনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। বাংলা জয়ের স্বপ্ন চুরমার হওয়ার পরে মানুষের রায়ে গোহারা হারার পর মাথা নিচু করে এইটুকু সহ্য করতেই হবে’।
তৃণমূলের ওই সংসদের কথায়, ‘রাজনীতির ময়দানে নেমে সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা আক্রমণ করেছিলেন। জোকারের মতো রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘দিদি, ও দিদি’ স্লোগান তুলেছিলেন। যা বাংলার মানুষ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। এখন সংসদে দাঁড়িয়ে তার পাল্টা জবাব পেতেই হবে ওঁকে’।