করোনা মোকাবিলায় মুখ থুবড়ে পড়া থেকে শুরু করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাহীন পরিস্থিতি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সব কিছু নিয়েই প্রশ্নবানে বিধ্বস্ত যোগী সরকার। দলের মধ্যে থেকেও উঠছে দল বিরোধী মন্তব্য। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই পুলিশ সন্ত্রাসবাদীদের ধরপাকড় শুরু করে। প্রশ্ন উঠছে ভোটের জন্যই কি ফের ‘পুলওয়ামা’ কৌশলের পুনরাবৃত্তি? এরমধ্যে সপা নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিজেপি ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে। তাতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক কৌশলটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ সম্প্রতি দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপরই সেখানে বিজেপিকে আক্রমণাত্মক রূপে দেখা যাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছিল। কিন্তু পরের দুই পর্যায়ে নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন পেশ, প্রচার, এমনকি প্রশাসনের সাহায্যে লাগামছাড়া অশান্তি – সব কিছুই ‘ত্রিপুরা জয়ের’ কৌশলের মতোই হচ্ছে।
এতকিছুর পরেও বিজয় উৎসব কম হয়নি। এরপরেই পুলিশ বিশেষ সন্ত্রাস-বিরোধী বাহিনী নিয়ে রবিবার থেকে অভিযানে নামে। দু’জনকে গ্রেফতার করে জানানো হয় তারা আল কায়দার সমর্থক। আনসার গজওয়াতুল হিন্দ সংগঠনের সদস্য। ১৫ আগস্টের আগে রাজ্যের ঐতিহাসিক জায়গা গুলিতে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। বিস্ফোরক বানানোর কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং উত্তরপ্রদেশের সব বড় শহরে সতর্কতা জারি হয়েছে।
এর মধ্যেই বিজেপি বিধায়ক সুরেশ্বর সিংহ বলেন, তাঁকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সোমবার ফের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ মেরঠ থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে, ভোটের মুখে ফের জঙ্গী দমন, আইটি সেল তার প্রচার ইত্যাদিকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষের ভোট আদায়ের চেষ্টা করছে যোগী সরকার।
রবিবার দুই জঙ্গী গ্রেফতার হওয়ার পর অখিলেশ যাদবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যাতে তিনি বলছেন- ‘আমি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, বিশেষ করে বিজেপি সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছি না।’ বিরোধী হয়েও তাঁর সঙ্গে সহমত বসপা নেত্রী মায়াবতী। এ দিন তিনিও টুইট করে বলেছেন, ভোটের সন্ত্রাসবাদী ধরা পড়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অদ্ভুত ভাবে ভোট এলেই জঙ্গীরা এই রাজ্যে বা দেশে ঢুকে পড়ে, আর এই ধরনের অভিযান শুরু হয়।