‘বঙ্গভঙ্গ’ বিতর্কে এবার মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপালি কবি ভানু ভক্তের জন্মতিথিতে বিধানসভায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলছে, তারা বিফল হবে। অধ্যক্ষ যখন এই মন্তব্য করছেন, বিধানসভায় তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মারা।
কবি ভানু ভক্তের জন্মতিথি উপলক্ষে এক বক্তৃতায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘ইদানিং আমরা লক্ষ্য করেছি অনেকে উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার হাওয়া তুলেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের পশ্চিমবঙ্গকে যারা ভাগ করার চক্রান্ত করছে সেটা রাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না। বাংলায় যেমন পাহাড় আছে, তেমনই সমুদ্র আছে, জঙ্গল আছে, নদী আছে। এটাই পশ্চিমবঙ্গের বৈচিত্র্য। সুতরাং যে সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে, আমার মনে হয় এ রাজ্যের মানুষ তাদের সে সম্মতি দেবেন না’।
বিধানসভার অধ্যক্ষের নিশানায় যে বিজেপি, তা নিঃসন্দেহে অনুমেয় বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও বিজেপির বক্তব্য কে কাকে কী ইঙ্গিত করে বলছে সেটা তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তাই বিজেপি বিধায়করা এ নিয়ে কথাও বলতে চাননি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিধানসভার অন্দরে অধ্যক্ষ যখন এ ধরনের বিষয়ে মন্তব্য করছেন,নিঃসন্দেহে তা আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলেন। তাঁর দাবি ছিল, দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করা হোক। না হলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হোক। একজন বিজেপি বিধায়কের এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে বড় বিতর্কের সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে আবার রাঢ়বঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তোলেন আর এক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া- জঙ্গলমহল নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানান সৌমিত্র। যদিও দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, বিজেপি অখণ্ড বাংলার পক্ষে। বিজেপি সাংসদদের মন্তব্য তাঁদের ব্যক্তিগত। তা দলের অবস্থান নয়।