বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রিত্ব হারানো নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা থামছেই না। কয়েকদিন আগেই মন্ত্রিত্ব হারানোর পর বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে সমবেদনার সুর শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এরপর ক্রমেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বাবুল সুপ্রিয়র। দুই জনই একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষ করেছেন। এরপর জল্পনা বাড়িয়ে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল এবং মুকুল রায়কে টুইটারে ফলো করেন। যার পর জল্পনা তুঙ্গে ওঠে প্রাক্তন মন্ত্রীর ভবিষ্যত নিয়ে। এবার এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় কটাক্ষ করলেন বাবুল সুপ্রিয়কে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে সুখেন্দুশেখরবাবু বলেন, বাবুলের তাল কেটে গিয়েছে। সাত বছর মন্ত্রীত্বের পর হঠাৎ যদি কাউকে এই অবস্থায় পড়তে হয় তাহলে তখন তাঁর মানসিক অবস্থার বহিঃপ্রকাশ তো হবেই। বাবুলের ক্ষেত্রেও তেমনই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলে আমি শুনেছি। কিন্তু আমি টুইটার ফেসবুক দেখিনি। যদিও তৃণমূলের সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় কোনও যোগাযোগ করেছে কিনা, তা নিয়ে খেন্দুশেখর রায় সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। বিষয়টি পুরোপুরি খারিজও করে দেননি তিনি।
এদিকে এই নিয়ে বাবুলকে কটাক্ষ করেছেন অন্যান্য তৃণমূল নেতাও। তাঁদের কথায়, ‘২০১৪ সাল থেকে হাফ প্যান্ট দিয়ে রেখেছিল, এবার সেটাও কেড়ে নেওয়া হল। আর এই বাংলা থেকে যে দুই জনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন গরু পাচারকারী আর এক জন বাংলা ভাগের কথা বলে। তাঁকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করা হল।’
বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গত বুধবার থেকে। ওই দিন মোদী মন্ত্রিসভার রদবদল হয়। রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হাতছাড়া হয় বাবুলের। মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি। বাবুলের এই পোস্টে বেজায় চটে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দেন তিনি। এরপর দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষের বাঁ ছুঁড়তে থাকেন। এরই মাঝে বাবুল তৃণমূলকে অনুসরণ করায় স্বভাবতই বেড়েছে জল্পনা।